এটি একটি বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি। চার বছর বয়েস থেকেই বানিয়ে বানিয়ে গল্প-বলা রঞ্জুর স্বভাবে পরিণত হয়েছে। পরিবারের সবাই ও স্কুলের বন্ধুরাও ব্যাপারটা জানে বলে তার গালগল্পকে কেউ আর বিশ্বাস করে না। শুধু তার বড়ো বোন শিউলি বিশ্বাস করার ভানটুকু করে। এদিকে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি পড়ে পড়ে রঞ্জুর গল্প বলার ধরনটাও পালটে যায়; আগের গল্পগুলো বিশ্বাসযোগ্য হলেও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিগুলো মেনে নেবার মতো ছিল না। তবে সত্যি সত্যি রঞ্জু একদিন রাতে ছাদের ওপর একটি মহাকাশযান দেখতে পায়। ফ্লাইং সসারের মতো দেখতে যানটির ভেতর থেকে কাঠির মতো বড়ো মাথার প্রাণী বেরিয়ে এল, তার সঙ্গে অনেক কথাও হলো তার ক্র্যাব নেবুলার যাত্রীদের ফুয়েল ট্যাংকের ফুটোটা চিউইংগামের স্টিক চিবিয়ে নরম করে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করল রঞ্জু। বিনিময়ে পেল বিস্ময়কর এক উপহার ক্র্যাব নেবুলার ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি- আসলে একটি আমড়া । অবিশ্বাস্য ও অকল্পনীয় অথচ বাস্তব সেই আনন্দময় অভিজ্ঞতাটি রঞ্জু ভাগাভাগি করতে পারল না; এমনকি তার বড়ো বোনের সঙ্গেও নয়। কেননা, এটিও একটি বানানো গল্প বলে শিউলি হয়ত অবিশ্বাস করবে। গল্পটিতে শিশুকিশোরদের সৃষ্টিশীল ও কল্পনাপ্রবণ মানসিকতা প্রকাশিত হয়েছে।
আরও দেখুন...